আলাপ-আনন্দ
-অমিত কুমার জানা
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রখ্যাত সাহিত্যিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় মঞ্চে উঠবেন। আজ ‘কল্পসাহিত্য’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান উক্ত সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সকাল থেকেই অজয়ের মন ঐ সাহিত্যিকের সঙ্গে আলাপের জন্য অধীর উৎকণ্ঠায় অপেক্ষমান। কল্পসাহিত্য পত্রিকায় অষ্টাদশ বর্ষীয় অজয়ের লেখা একটি গল্প স্থান পেয়েছে এবং সেই সুবাদে সে আজ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। অজয় সেই বাল্যকাল থেকেই ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের অনেক লেখা পড়েছে। আজ উনার সঙ্গে যদি একটু আলাপচারিতার সুযোগ পায় তাহলে সত্যিই তার মন অনাবিল আনন্দে ভরে উঠবে। বিশিষ্ট সাহিত্যিক মঞ্চে পদার্পণ করলেন। সারা হলঘর হাততালিতে ভরে উঠল। মোবাইল ক্যামেরায় কত যে ছবি তোলা হল তার কোন হিসেব নেই। মুখোমুখি এহেন বিখ্যাত সাহিত্যিককে অজয় যেন খুশিতে ফেটে পড়লো। মঞ্চে ডেকে নেওয়া অনেক নতুন কবি, লেখকদের। বিশিষ্ট সাহিত্যিক তাদের হাতে তুলে দিলেন নিজের স্বাক্ষর করা শংসাপত্র। অজয়ের নামও ঘোষণা করা হলো। সে এই জগতে একেবারেই নতুন। ভয় মিশ্রিত উত্তেজনায় দুরদুর করে বুক কেঁপে উঠলো। সে ধীরগতিতে মঞ্চে আসীন হলো। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় তার হাতে তুলে দিলেন শংসাপত্র। অজয় তাঁকে বললো,-” আমি আপনার অনেক লেখা পড়েছি, আমি আপনার ভীষণ অনুগামী।”
প্রখ্যাত সাহিত্যিক অজয়কে সানন্দে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অজয়ের অনুরোধে তার সাথে একটা সেলফিও তুললেন।
অনুষ্ঠানের শেষে বনভোজনের ব্যবস্থা ছিল। উক্ত সাহিত্যিক নিঃসংকোচে অজয়ের সাথে বসে পরম তৃপ্তিতে বনভোজন সারলেন। অজয়ের বহুদিনের দেখা স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। তার চেয়েও যে ব্যাপারটা অজয়কে অভিভূত করলো তা হলো ঐ বিশিষ্ট সাহিত্যিকের নির্ভেজাল অমায়িক ব্যবহার। উনার সঙ্গে অন্তরের আলাপে সত্যিই অজয়ের মন অপার খুশিতে ভরে গেল।
সুন্দর
শুভ সন্ধ্যা, এই অমূল্য মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ